অবস্থান : কমলগঞ্জ উপজেলা।
দুরত্ব : মৌলভীবাজার জেলা শহর হতে ৩০ কিলোমিটার।
পর্যটন সুবিধা : বনবিভাগের একটি রেষ্ট হাউসসহ বিভিন্ন পাবলিক রেস্তোরা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে পায়ে চলার ট্রেইল, ইকো-গাইড, তথ্য কেন্দ্র ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র : বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেট। সদর দপ্তর, মৌলভীবাজার।
লাউয়াছড়া এক মায়াবী মিশ্র চিরহরিৎ বন। যা দেশের অন্যতম রেইন ফরেস্ট বা বর্ষাবন। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ১২৫০ হেক্টর আয়তনের এ বন জীববৈচিত্রে ভরপুর।লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর আড়াই হাজারেরও অধিক প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এ বন বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ ও বিলুপ্তপ্রায় জীবজন্তু, পাখপাখালি, কীটপতঙ্গ, উদ্ভিদ আর অর্কিড। রয়েছে একটি ভেষজ উদ্ভিদের বাগান। রয়েছে নানান প্রজাতির সরিসৃপ, বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ, বানর, সিভিট কেটসহ অর্ধশত প্রজাতির জীবজন্তু। উদ্যানটির ভিতরে রয়েছে কয়েকটি খাসিয়া পুঞ্জি, পাহাড় বেষ্টিত লম্বা বৃক্ষে খাসিয়ারা খাসিয়া পানের চাষ করে। উদ্যানের এক পাশে রয়েছে আনারসের বাগান, এক পাশে চায়ের বাগান আবার কোথাও রয়েছে লেবুর বাগান। বনের ভেতর দিয়ে অনেকগুলো পাহাড়ি ছড়া বয়ে চলেছে। ছড়ার কাছে বন্যপ্রাণীর আনাগোনা দেখা যায়। খাসিয়া নরনারীদের পান সংগ্রহ পর্যটকদের নিশ্চিতভাবেই বিমোহিত করবে। নির্দিষ্ট হারে প্রবেশ মূল্য দিয়ে যে কেউ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণ করতে পারে। বনে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটার পথ রয়েছে: একটি ০৩ ঘণ্টার পথ, একটি ০১ ঘণ্টার পথ আর অপরটি ৩০ মিনিটের পথ। পুরো ন্যাশনাল পার্কটি শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ পাকা মহাসড়ক ও সিলেট আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের রেললাইন দ্বারা ৩ খন্ডে বিভক্ত। কিন্তু রেললাইন ও পাকা সড়ক দ্বারা বিভক্ত হলে ও উদ্যানের ভেতর তেমন কোনো বাড়ি-ঘর নেই। প্রকৃতিকে বিরক্ত না করে প্রশিক্ষিত গাইডের সহায়তায় বনের একেবারে ভেতর পর্যন্ত যাওয়া যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস