মাধবপুর লেক মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
চা বাগানের মধ্যে অবস্থিত বলে এখানে আসার সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই; সিলেট বা মৌলভীবাজার হয়ে এখানে আসতে হয়। মাধবপুর হ্রদে যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে সড়ক বা রেলপথে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল হয়ে কমলগঞ্জে আসতে হবে; এরপর কমলগঞ্জের ভানুগাছ চৌমুহনী হয়ে চা বাগানের মধ্য দিয়ে মাধবপুর হ্রদে পৌঁছতে হবে।
মাধবপুর হ্রদ সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম জলাধার। বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষনগুলোর মধ্যে এই হ্রদটি অন্যতম। এই হ্রদটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখলা এলাকায়। কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি)-র সত্ত্বাধীন মাধবপুর চা-বাগানের ১১ নম্বর সেকশনে (পাত্রখলা) এর অবস্থান। এই স্থানটি জেলা শহর মৌলভীবাজার থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র শ্রীমঙ্গল থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে। চা বাগানে চাষের ও অন্যান্য বিভিন্ন কারণে ব্যবহারের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ অধিক হলেও ঢালু ভূমির কারণে পানি অধিক সময় অবস্থান করেনা বিধায় পানির প্রয়োজনে বাগান কর্তৃপক্ষ ১৯৬৫ সালে বাগানের মধ্যস্থিত তিনটি টিলাকে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে রেখে গড়ে তোলেন মাধবপুর হ্রদ। মাধবপুর হ্রদটির আয়তন প্রায় ৫০ একর এবং দৈর্ঘ্যে ৩ কিলোমিটার; প্রস্থ স্থান বিশেষে ৫০ হতে ৩০০ মিটার। এখানে হ্রদের পানিতে রয়েছে নীল পদ্ম আর বেগুনী শাপলা; দেখা যায় গোলপাতা আর শালুকের ঝাড়। টিলার ঝোপঝাড়ে আছে নানা বর্ণের বুনো ফুল, যাদের মধ্যে ভাঁট ফুলই প্রধান। চা বাগানের মধ্যে বলে প্রাকৃতিক গাছের পরিমাণ স্বল্প; দেখা মেলে ছায়া বৃক্ষের। হ্রদের জলে দেখা মেলে বিভিন্ন জাতের হাঁস, সরালি, পানকৌড়ি, জলপিপি প্রভৃতি জলচর ও পরিযায়ী পাখির।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস